‘অচেনার আনন্দ’র সাথে দু’দিন-তিন রাত

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সবসময় এক ধরনের আত্মীয়তা অনুভব করেছি। আমি যে স্কুলের ছাত্র, সেই হরিণাভি স্কুলে তিনি শিক্ষকতা করেন – ১৯২০ – ২২ সালে। এই স্কুলে শিক্ষকতা করার সময়েই এখানকার বালককবি যতীন্দ্রমোহন রায় ওরফে পাঁচুর সহায়তায় তাঁর সাহিত্যপ্রতিভার উন্মেষ। আমাদের বাড়ি রাজপুরের ছয়ানি পাড়ায়, যেখানকার জমিদার বাড়ির ছায়াতেই গড়ে উঠেছে তাঁর উপন্যাস ‘কেদাররাজা’। ‘চাঁদের পাহাড়’ উপন্যাসের নায়ক শঙ্কর যে মন্দিরে মানত করে অজানার পথে পাড়ি দেয় সেটিও ঐ ছয়ানি চৌধুরীর জমিদারবাড়ির অদূরেই উপস্থিত। আর যে ‘হারিজি চণ্ডীর মাঠ’ তাঁর ক্লান্তি দূর করতো, তা আমাদের খুবই কাছের। আবার সেই যে গ্রাম, নিশ্চিন্দিপুর, ঠিক সেই নামের আমাদের রাজপুরের অদূরে একটি গ্রাম ছিল, তিনি পায়ে হেঁটে সেখানে ঘুরে বেড়াতেন। প্রথম গল্প ‘উপেক্ষিতা’র মূল চরিত্র যে বধূটি তাঁর বাস বারেন্দ্রপাড়ার লাহিড়ী বাড়িতে – আমাদের পৈতৃক বাড়ি থেকে যার দূরত্ব এক মাইলেরও কম। ১৯৯৪ সালে হরিণাভি স্কুলে তাঁর জন্মশতবার্ষিকী বেশ আড়ম্বরের সঙ্গেই পালিত হয়েছিল, প্রধান অতিথি ছিলেন বিভূতিপুত্র তারাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাই আমার ফেসবুকের বন্ধু শ্রীমান পার্থ কর যখন জানাল যে তাঁর সেই পরিবেশে ক’দিন কাটানোর সুযোগ পাওয়া যাবে, তা হাতছাড়া করতে মন চাইল না। ব্যাঙ্গালোরে বসেই প্ল্যান করা হয়ে গেল। আমাদের দলটি পাঁচজনের। আমি সস্ত্রীক, আমার আমার মাসতুতো ভাই এবং সকন্যা মাসতুতো বোন।
বনগাঁ স্টেশনে কথামত হাজির ছিল গাড়ি। আমরা গিয়ে পৌঁছলাম মালিদহের আবাসে। বেশ সুন্দর ব্যবস্থা। সবে শুরু, তাই কিছু ছোটোখাটো সমস্যা থাকলেও এই গ্রাম্য, সবুজ পরিবেশের সঙ্গে তা যেন বেশ মানানসই।
গিয়েই আমরা বেরিয়ে পড়লাম পাড়া বেড়াতে। হ্যাঁ, এই পরিবেশে, যেখানে নাকি বিভূতিভূষণ ও হাঁটতেন সেখানে ঘোরাঘুরি করলেই তো তাঁর সাথে বেড়ানো হবে। প্রথম দিনের বেড়ানোতে ছিল মোস্তফার উপর বাওড়ে নৌকোবিহার, সর্ষে ক্ষেতের ভ্রমণ, আষাঢ়ুর হাট (এখন বাজার) দর্শন আর রাতে ফিরে ছাদে বসে আগুন জ্বেলে মুক্ত আকাশের নীচে বসে আড্ডা ও গল্প।
এই পথযাত্রায় আমাদের পথপ্রদর্শক শ্রীমতী জয়শ্রী যার অপরিসীম আবেগ ও ক্লান্তিহীন ধারাবিবরণী আমাদের শুধু আনন্দই দেয়নি, একেবারে বিমোহিত করে তুলেছিল। মাঝে একদিন তার একটু গলায় ব্যথা হয়েছিল, বেচারি কথা কম বলাতে আমাদের দুই নারী সদস্যের অনুযোগ, ‘কী হল? আজ এত চুপচাপ?” বোঝ!
নৌকো চড়ে যাওয়ার আগেই দেখা গেল বিরাট অঞ্চল জুড়ে সর্ষে ক্ষেত। আর তার মানেই তো ছবি তোলা!

চোখে সর্ষেফুল দেখার যা অর্থই হোক না কেন, সর্ষে ক্ষেতের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার আলাদা আনন্দ

এরপরেই নৌকোতে উঠতে গিয়ে শহুরে বাবু বিবিদের একটু বেকাবু অবস্থা! ইচ্ছে আছে ষোল আনা, কিন্তু বুক করে দুরুদুরু। যা হোক জয়শ্রীর অভয়প্রদানে দিব্যি উঠে পড়া গেল। কিন্তু নৌকো একবার চলতে শুরু করলে বেশ ‘এই শহর ছেড়ে আরো অনেক দূরে’ চলে যাওয়ার অনুভূতিটাই প্রবল হয়ে দেখা দিল। নদীর ধারের জনবসতি দেখে একেবারে পুরনো গ্রামের ছবির কথাই মনে পড়ে যাচ্ছিল। দূরে বাংলাদেশের গ্রাম দেখা যাচ্ছিল। নদীর বুকে নৌকো থেকে দেখার কেমন একটা অন্য অনুভূতি যেন। আবহাওয়াও চমৎকার। শীতের রেশ আছে বেশ, অথচ তেমন কনকনে ঠাণ্ডা নয়।

নৌকোতে বেড়ানো আর দূরে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের দর্শন, জয়শ্রী উঁকি মারছে দু’জনের মাঝে

আমাদের ভ্রমণসঙ্গী ছিল টোটো! বিদ্যুৎ চালিত যানটি এই পরিবেশে মানানসই। আর কাছাকাছি ঘোরার জন্য যথেষ্ট আরামদায়ক। ফেরার পথে আমরা দেখলাম আইসক্রিমের কাঠি তৈরির কুটীরশিল্পের কারখানা।

‘টোটো’ করে পাড়া বেড়ানো – রোদে শুকোনো হচ্ছে আইসক্রিমের কাঠি

ফিরে এসেই ছিল মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি। এই ভোজনের একটু বিশদ বিবরণ দিতে ইচ্ছে করছে। সত্য কথা বলতে বিভূতিভূষণও ভোজন রসিক ছিলেন, তাই তাঁর জায়গায় এসে একটু বিস্তারিত হলে ক্ষতি কী!
প্রত্যেক ভোজনেই ছিল ভরপুর খাওয়ার আয়োজন। সাদা জুঁইফুলের মত ভাত, ডাল, বিভিন্ন ভাজা, তরকারি, কত রকমের মাছ, পাঁঠার মাংস, হাঁসের ডিম, মুরগির মাংস, এমনকি হাঁসের মাংসও – এক একদিন এক একরকম। এরপর ছিল চাটনি আর মিষ্টি। সত্যি খাওয়াটাও এই ভ্রমণের এক অন্য আকর্ষণ। ব্রেকফাস্টে একেবারে গরম লুচি তরকারি, কখনো বা দিশি মুরগির ডিমের পোচ। এমনকি যা আমাদের কাছে খুবই দুর্লভ সেই সদ্য গাছ থেকে ‘পেড়ে আনা’ খেজুরের রস। রইল সেসবের ছবি – আর ছবি রইল রন্ধনশিল্পী দুর্গাদিদির। যত্ন করে প্রতিদিনই বিভিন্ন পদ রান্না করে খাইয়েছেন আমাদের।
তবে খাওয়ার কথা আর না – এবার যখন নিজেরা মনোমত রান্না করিয়ে খাবেন, সেভাবেই উপভোগ করবেন। হাজার হোক – আপ রুচি খানা!

একদিনের দুপুরের খাওয়ার নমুনা – রন্ধনশিল্পী – টাটকা খেজুরের রস – অতি উপাদেয় ও দুর্লভ

খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম করেই আবার বেরোলাম। এবার গন্তব্য আষাঢ়ুর হাট হয়ে মালিপোতা। আষাঢ়ুর হাটের কথা মনে পড়ে কি? সেই যে –

সে ও তাহার দিদি নিচু হইয়া ক্ষেত হইতে মাঝে মাঝে কলাই ফল তুলিয়া খাইতেছিল-তাহাদের সামনে কিছুদূরে নবাবগঞ্জের পাকা রাস্তা, খেজুর গুড় বোঝাই গরুর গাড়ির সারি পথ বাহিয়া ক্যাঁচ ক্যাঁচ করিতে করিতে আষাঢ়ুর হাটে যাইতেছিল।

এখন অবশ্য সেই হাট নেই, সেখানে বড় বাজার। তাই দুধের সাধ ঘোলে মেটানোর মত হাটের সাধ বাজারে মিটিয়ে গোটা দুই ছবি তোলা গেল। ‘ক্যাঁচ ক্যাঁচ’ করে না হলেও গরুর গাড়ির প্রসঙ্গ অবশ্য একটু পরেই আসবে।

ও হরি! বলতে ভুলে গেছি। যাওয়ার পথে মুক্ত প্রান্তরে দূষণহীন পরিবেশে একটি ভারি চমৎকার সূর্যাস্তও দেখার সুযোগ হয়েছিল। রইল তার তিনটি ক্রমের ছবি। অনেকদিন পরে এটা দেখার সুযোগ হল।

সূর্য ডোবার পালা আসে যদি আসুক বেশ তো!

দ্বিতীয় দিনে ভোরে উঠেই গেলাম সবজি আনতে। বাজার থেকে নয় কিন্তু, ক্ষেত থেকে। আহা! ঝকঝকে সবুজ আনাজ দেখে মন ভরে যায়। হাতে নিয়ে দেখে, গন্ধ শুঁকে অনুভব করতে অপূর্ব তো লাগেই, তারপরে যখন তা খাওয়া হয় –!! কয়েকটি মাত্র ছবি দিলাম। এই ক্ষেত ভ্রমণ এক অনন্য অভিজ্ঞতা – যাঁরা আসবেন, তাঁদের অনুরোধ এটিকে কোনমতেই উপেক্ষা করবেন না। মাটিতে পা দিয়ে হাতে তাজা সবজি নিয়ে দাঁড়ানো ফাটাফাটি ব্যাপার।

গদাকৃতি মুলো           পটল         পেঁয়াজকলি           সিম

এবার বড় যাত্রা। গন্তব্য বিভূতিভূষণের বারাসাতের বাড়ি এবং পারমাদন অরণ্য। আজ দূর বলে আর টোটো নয়, গাড়িই আমাদের সঙ্গী। হাজির হয়ে গেলাম বিভূতিভূষণের বসত বাড়িটিতে। যদিও সরকারি সাহায্যের অপেক্ষা রয়েছে, তাহলেও বিভূতি প্রেমিকেরা সযত্নেই রক্ষা করেছেন তাঁর ‘স্মৃতির রেখা’কে।

এর পরেই গিয়ে পৌঁছলাম পারমাদনে বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্যে। বেশ নৈসর্গিক পরিবেশ। কয়েকটি পাখি আছে দেখার মত।

এর পরের ভ্রমণটি ইছামতী নদীপথে। ভারি চিত্তাকর্ষক ভ্রমণ বিভূতিভূষণের প্রিয় এই নদীটিতে। আগের দিনের তুলনাতে এখানে নৌকোগুলি বেশ বড়সড়। এবং যাত্রাপথের দৈর্ঘ্যও বেশ বড়। বেশ আরাম করে নদীতে নৌকো চড়া গেল। নৌকো যাচ্ছিল, কিছু কিছু জায়গায় জলপথ বেশ মসৃণ। আবার কিছু জায়গাতে কচুরিপানা ও অন্যান্য ‘শৈবালদাম’ পথকে বেশ কঠিন করে তুলেছে। আমাদের মাঝি বেশ নৈপুণ্যের সঙ্গেই আমাদের রাস্তা পার করিয়ে নিয়ে এল। যাত্রাপথে পানকৌড়ি, মাছরাঙাদের দেখা মিলে গেল।

তীরে এসে দেখা গেল এক জনপদ, যেখানে রয়েছে একটি পরিত্যক্ত নীলকুঠি। ছুটির দিনে সেখানে অনেকে পিকনিক করতে এসেছে। বেশ জমজমাট জায়গাটি।

পরিত্যক্ত নীলকুঠি – না জানে এর ভিতরে কত ইতিহাস লুকিয়ে আছে

এদিন রাতে একটি সুন্দর গ্রামীণ নাচের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খোলা মাঠের মধ্যে। বেশ ঠাণ্ডা, আগুন জ্বালানো এবং মাথার ওপরে শামিয়ানা। সেখানকার স্থানীয় শিল্পীরা যোগ দিলেন, আমাদের কেউ কেউ ও ঢুকে পড়লেন দলে। সেখানে খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। কড়া থেকে গরম চিকেন কাবাব খেতে খেতে খোলা হাওয়ায় নাচ দেখা বেশ উপভোগ্য ব্যাপার।

তবে টোটো চড়ে এই জায়গায় যেতে গিয়ে রাস্তাটি কিঞ্চিৎ সরু হওয়ায় আমাদের ঈষৎ টেনসন হয়েছিল। সে বেশ মজার ব্যাপার। তখন একটু ভয় করলেও পরে আমরা সেই অহেতুক ভীতি নিয়ে নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেছি, এমনকি কলকাতায় ফিরেও সেই রোহমর্ষক বর্ণনা দিয়ে লোকের মনোরঞ্জন করতে ছাড়িনি। সব মিলিয়ে এই নৈশ এডভেঞ্চার বেশ উপভোগ্য ছিল।

পরের দিন ছিল বিদেশ ভ্রমণ। মানে বাংলাদেশে মাটিতে পা রাখা। জয়শ্রীর নেতৃত্বে আমরা সীমানা পার করে যেটুকু সম্ভব গেলাম। সেখানে দেখতে পেলাম ‘কপোতাক্ষ নদ’ যাকে অমর করে রেখেছেন মধুসূদন তাঁর কবিতায়।

“সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে / সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।”

কপোতাক্ষ এখন ক্ষীণতনু —— বাংলাদেশের মাটিতে পা

বাংলার মাটি ————— বাংলার জল!

এরপরে আরও একটি মজার অভিজ্ঞতা বাকি ছিল, গরুর গাড়ি চড়ে গ্রাম পরিদর্শন। এসেছি যখন করেই ছাড়ব! উঠতে একটু কষ্ট হলেও একবার ম্যানেজ করে বসে বেশ আরামেই ছিলাম। দিব্যি হেলে দুলে প্রকৃতির শোভা নিরীক্ষণ করতে করতে যাওয়া যাচ্ছিল। তারপর একবার থেমে গণ্ডগোল হয়ে গেল! একজন দুম করে নেমে যেতেই উলটে পড়ে চিত্তির! তেমন কিছু ব্যাপার নয় – এগুলোই মজার। পরে অবশ্য শিখে গিয়েছিলাম, আর ঝামেলা হয়নি।

আর একটা অদ্ভুত জিনিষ দেখেছি। অনেকেই হয়তো দেখেছেন, কিন্তু আমরা প্রথম দেখলাম। Self-standing ঘুঁটে। মানে দেওয়াল ছাড়াই শিকের মধ্যে ঘুঁটে দিলে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুকোয়। এই সেল্ফ স্ট্যান্ডিং ঘুঁটেকে এখানে ‘মশাল’ বলে। কোথাও আবার একে শলাকা, লাকড়িও বলে। আর দেখলাম ইটের কারখানাও।

     Self-standing ঘুঁটে                               ইটের কারখানা

এবার ঘরে ফেরার পালা। ক’দিন দূষণহীন পরিবেশে প্রকৃতির সান্নিধ্য খুব উপভোগ করলাম। অনেক ধন্যবাদ জানাই পার্থ কর আর জয়শ্রী বিশ্বাসকে। জয়শ্রী যেভাবে অক্লান্ত সঙ্গ দিয়েছে আমাদের, কোন প্রশংসাই তার যোগ্য হতে পারে না। ওঁরা জানিয়েছেন, এবার প্রথম বার। পরে আরও বড় করার ইচ্ছে আছে। আমিও জানি তা হবে।

তবে যাঁরা এখানে আসবেন, তাঁদের অনুরোধ করব গ্রাম্য পরিবেশে শহরের সব স্বাচ্ছন্দ্যের প্রত্যাশা রাখবেন না। তবে নিশ্চয়ই গভীর এবং নিবিড় আশা রাখবেন প্রকৃতির কোলে ক’টি নিরিবিলি দিন কাটানোর। আর সেই বিভূতিভূষণের আপ্তবাক্যকে মনে রাখলে তো কথাই নেই –

“অচেনার আনন্দকে পাইতে হইলে পৃথিবী ঘুরিয়া বেড়াইতে হইবে, তাহার মানে নাই। আমি যেখানে আগে কখনো যাই নাই, আজ নতুন পা দিলাম, যে নদীর জলে নতুন স্নান করিলাম, যে গ্রামের হাওয়ায় শরীর জুড়াইল, আমার আগে সেখানে কেহ আসিয়াছিল কিনা, তাহাতে আমার কি আসে যায়? আমার অনুভূতিতে তাহা যে অনাবিষ্কৃত দেশ। আমি আজ সর্বপ্রথম মন, বুদ্ধি, হৃদয় দিয়া উহার নবীনতাকে আস্বাদ করিলাম ষে! —   খলসোমারির বিলের প্ৰান্তে ঘন সবুজ আউশ ধানের ক্ষেতের উপরকার বৃষ্টি-ধৌত, ভাদ্রের আকাশের সুনীল প্রসার। সারা চক্রবাল জুডিয়া সুৰ্য্যাস্তের অপরূপ বর্ণচ্ছষ্টা, বিচিত্র রং-এর মেঘের পাহাড়, মেঘের দ্বীপ, মেঘের সমুদ্র, মেঘের স্বপ্নপুরী-খোলা আকাশের সহিত এরকম পরিচয় তাহার এতদিন হয় নাই” 

হ্যাঁ! এটা সত্যিই। এই সবই পাবেন। বিভূতিভূষণের নিশ্চিন্তিপুরে ক’দিন নিশ্চিন্তে কাটিয়ে যেতে পারেন। আর যাঁরা এই আনন্দযজ্ঞের ঋত্বিক, রইল তাঁদের সকলের সঙ্গে আমাদের একটি ছবি।

6 thoughts on “‘অচেনার আনন্দ’র সাথে দু’দিন-তিন রাত

  1. বাহ, বাহ, দারুণ ব্যাপার। খেতের কচি সিমের মতো তাজা …

    Liked by 1 person

  2. অপূর্ব লেখন। ছোটবেলায় মামাবাড়ি যাওয়ার স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। গ্রামের মাধূর্যই আলাদা। ইচ্ছে থাকল ঘুরে আসার।

    Liked by 1 person

  3. অনেক দিন ধরেই যাবার খুব ইচ্ছে। লেখাটা পড়ে সেটা আরো চাগিয়ে উঠলো।

    Liked by 1 person

Leave a comment